পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা

পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা – যে কারণে পেঁপে খাওয়া উচিত

অধিকাংশ মানুষই পেঁপে খেতে পছন্দ করে। পছন্দ করার বিশেষ কারণ হচ্ছে পেঁপের স্বাদ। পাকা অবস্থায় এর স্বাদ অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি। এই ফলটি পাকা অবস্থায় ও কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এর পাশাপাশি রান্না করে ও সিদ্ধ করে, ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা পেঁপের হালুয়া আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়।

এটি ফল হিসাবে পরিচিত বা সবজি হিসেবেও বলা যায়। স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকায় পেঁপে একটি। এটি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এর বেশ পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও কাদের ক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত তা আজকের এই পোস্টে জানানো হবে।

আজকের এই পোস্টে আমরা কয়েকটি বিষয়ে বিভক্ত করে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা, পাকা পেঁপে পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দিক তুলে ধরা হয়েছে। পেঁপে খেতে পছন্দ করেন অথচ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা নেই তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। তাই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার অনুরোধ রইল।

পেঁপে খাওয়ার নিয়ম

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক পেঁপে খাওয়ার নিয়ম। আপনি যে খাবার খাচ্ছেন সে খাবার দ্বারা আপনার শরীরের জন্য কতটা উপকার হচ্ছে তা অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। পেপে অধিকাংশ মানুষের কাছে প্রিয় তবে অনেকেই জানে না এর খাবার সঠিক নিয়ম। পেঁপে খাওয়ার সঠিক নিয়ম সকলে জেনে রাখা উচিত।

পেঁপে একটি উপকারী ফল এই ফল অনেকেই খেতে পছন্দ করে। তবে এই ফলটি খাওয়ার সঠিক সময় সকাল ও দুপুর বেলায় খাবারের পর। এই ফলটি খেলে এর উপকারিতা কাজে লাগে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা এক বছরের নিচে শিশুদের পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ শিশুরা পানি কম খায় এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোনো অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা কি

এই ফলটি সকলেরই চেনা, সারা বছরই পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফলের দাম অনেক কম হওয়ার কারণে আমাদের হাতে নগালেই পাওয়া যায় এই ফলটি। পেঁপে খাবার উপকারিতার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এখন আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে আমাদের কি কি উপকার আসতে পারে।

পাকা পেঁপে বা কাঁচা পেঁপে উভয়ের প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। খাদ্যে পটাশিয়াম বেশি, সোডিয়াম তুলনায় অনেক কম বা নেই, ব্লাড প্রেসারের রোগীদের এমন সব খাবার খেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। পেঁপের বিশেষ গুনাগুন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ি তোলে এর পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, এনজাইমের উৎস, পেটের জন্য ভালো, পুষ্টির উৎস, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, চুলের যত্নে‌ বারিয়ে তোলে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ৭.২ গ্রাম শর্করা, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলোগ্রাম, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম।

এছাড়াও অন্যান্য গুনাগুন তো রয়েছেই। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই বলা যায় শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। অন্যান্য খাবার রাখার পাশাপাশি পেঁপে রাখা উচিত। পেঁপে স্বাস্থ্য গুনাগুন গুলো অনেক উপকারী আমাদের জন্য।

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

পাকা পেঁপের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি কাঁচা পেঁপের চাহিদা রয়েছে। সাধারণত পেঁপের স্বাদ পাওয়ার জন্য পাকা পেঁপে বেশি খাওয়া হয়। কাঁচা পেঁপে সাধারণত রান্না করেই বেশি খাওয়া হয় এর পাশাপাশি সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায় এবং কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খাওয়া যায়। তবে পাকা পেঁপের যেমন গুণাগুণ রয়েছে তেমনি কাঁচা পেঁপের অনেক গুনাগুন রয়েছে যা এখন আমরা আলোচনা করব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়– শরীর সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন যা সাহায্য করবে পেঁপে। যারা নিয়মিত পেঁপে খেতে পারবে তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবে। পেঁপে তে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যেমন—স্যাপোনিনস, টানিনস, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে আইজিএমের মাত্রা বাড়ায়।

ওজন কমায়– অন্যান্য ফলের তুলনায় ক্যালরির মাত্রা কম রয়েছে এবং উচ্চ মাত্রায় খাদ্য আঁশ রয়েছে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁপে খেতে পারলে শরীরের বেড়ে যাওয়া মেদ কমাতে অনেক কার্যকারী হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় এনজাইম প্রদাহ রোধে সহায়ক।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে– শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যেমন প্রয়োজন। তেমনি হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। নিয়মিত খাবার খাওয়ায় হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পেঁপে। এছাড়াও নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেহেতু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে তাই নানান সমস্যা দূর করে যেমন বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ। এতে রয়েছে পাপাইন ও চিমোপাপাইন নামক এনজাইম এবং খাদ্য আঁশ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।

পেটের জন্য উপকারী– বলা হয় যারা নিয়মিত ফল খেতে পারবে তারা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবে। পেটের ক্ষেত্রে অনেকটাই ওষুধ হিসেবে কাজ করে পেঁপে। কাঁচা পেঁপে কোলনের জন্য এবং পেটের পচন প্রকৃয়ার জন্য অনেক ভালো। পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বলা যায় পেঁপে খাওয়া উচিত।

ত্বকের জন্য উপকারী– ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে কাঁচা পেঁপে। সান ড্যামেজ, ব্রণ ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে কাঁচা পেঁপে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। আর এতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতরেও পরিষ্কার করে। তাই এটি খেলে ব্রণ ও ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে। তাই রূপের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য পেঁপের উপকারিতা রয়েছে।

হৃদরোগের কামায়– পেঁপে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে কারডেনোলিডস ও স্যাপোনিনস উপাদান, তাই হৃদ রোগে ঝুঁকি কমে অনেকটাই। এতে থাকা উপাদান স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্বাস্থ্যকর হার্টবিট মেইনটেইনে কার্যকর।

এনজাইমের উৎস– কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন চর্বি দূর করতে সাহায্য করে পেঁপে। কারণ পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম এর পাশাপাশি কেমোপেইন, প্যাপিন, পাইপাইন ও সাইমোপ্যাপিনের মতো উপাদান।

পুষ্টির উৎস– অন্যান্য ফলের তুলনায় এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। এই ফলে অন্যান্য ফলের তুলনায় ক্যারটিনয়েডস পাওয়া রায়। ফলে শরীরের ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা কি

পাকা পেঁপে খেতে অনেকেই পছন্দ করে কারণ এর স্বাদ অনেক লোভনীয়। কাঁচা পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপর থেকে জানতে পেরেছি। তবে পাকা পেঁপের উপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। পাকা পেঁপের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা এখন আমরা আলোচনা করব।

চোখের যত্নে– শরীর-স্বাস্থ্য যেমন ভালো রাখা প্রয়োজন। তেমনি চোখে সুরক্ষা বাড়িয়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়া অনেকটাই কার্যকারী। আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন এ আমাদের চোখের স্বাস্থ্য বাড়িয়ে তুলে যা পেঁপেতে রয়েছে। নিয়ম করে প্রতিদিন তিনবার পেঁপে খেতে পারলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।

কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়– রক্তে কোলস্টোলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে পেঁপে। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে তোলে। পেঁপে খেতে পারলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

চুলের যত্নে– চুলের যত্ন নেয়া হিসেবে পেঁপের ভূমিকা রয়েছে, পেঁপের সাথে প্রয়োজন হবে টক দই। টক দই ও পেঁপে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মাখলে চুল শক্ত হওয়ার পাশাপাশি চুল ঝলমলে হয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়– পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই অন্যান্য খাবার পাশাপাশি পেপে রাখা উচিত।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখে– পাকা পেঁপেতে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই–এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মানবদেহের কোলেস্টেরল অক্সিডাইজড হয়ে গেলে সেটা ব্লকেজ তৈরি করে; ফলে হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখ দেখা দেয়। পেঁপের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোলেস্টেরলের অক্সিডাইজড হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, ফলে হৃৎপিণ্ড নানা ধরনের জটিলতার হাত থেকে রক্ষা পায়।

এছাড়াও ত্বকে যত্ন বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রেও পাকা পেঁপের ভূমিকা রয়েছে। কাঁচা পেঁপে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তুলে তেমনি পাকা পেঁপেও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে, ব্রণের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যেস করলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে। কাঁচা পেঁপের মত পাকা পেঁপের অনেক গুনাগুন রয়েছে। তাই বলা যায় স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অন্যান্য খাবার তালিকার পাশাপাশি পেঁপে রাখা উচিত।

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা কাঁচা পেঁপে ও পাকা পেঁপের বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। পেঁপে একটি স্বাস্থ্যকর ফল যা আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে অনেকটাই কার্যকারী। কাদের জন্য পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত যা আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব। তাহলে চলুন কাদের ক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়া উচিৎ নয় বা এর অপকারিতা দিকগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ওজন কমায়– প্রথমে বলে নেওয়া যাক ওজন সম্পর্কে। কেননা অনেকে চায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে। তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় অতিরিক্ত পেঁপে খাওয়া যাবেনা। পেঁপে ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ পেপেতে ক্যালরির মাত্রা খুব কম। যে খাবারে ক্যালরির মাত্রা কম থাকে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের অতিরিক্ত পেঁপে খাওয়া যাবেনা।

বাচ্চা দের ক্ষেত্রে- পেঁপেতে ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকার ফলে এক বছরের কম বয়সের শিশুদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে বাচ্চারা পানি খাওয়া থেকে অনেকটাই বিরত থাকে। এতে করে বাচ্চাদের যদি পেঁপে খেতে দেওয়া হয়, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। তাই কাঁচা অথবা রান্না কোনো অবস্থাতেই শিশুদেরকে পেঁপে খাওয়ানো উচিত নয়।

গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় নারীদের পেঁপে খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেন। পেঁপের বীজ, শিকড় এবং পাতা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। কাঁচা পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন দেহের ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ছাড়াও পেঁপে ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই এসব বিষয় খেয়াল থাকা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বলা যায় ডাক্তারের পরামর্শ করে পেঁপে খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা পেঁপে খাওয়া থেকে দূরে থাকা ভালো। পেঁপে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, তবে বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপজ্জনক। আরো বেশ কিছুদিক রয়েছে বুক ধরফর করা, এলার্জির সমস্যা ও কিডনিতে পাথর এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই উল্লেখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত। পেঁপে পুষ্টিকর ফল আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে। তবে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখে আমাদের পেঁপে খেতে হবে।

শেষ কথা

আমরা চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্টে পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দিকগুলো তুলে ধরার। আশা করা যায় এই পোস্ট থেকে আপনি খুব সহজেই জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটা আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট করে দেখতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ে পোস্ট রয়েছে ওগুলো পড়লে আপনাদের উপকারে আসতে পারে।

আরও দেখুনঃ

তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় – ঠোটের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

ওজন বাড়ানোর উপায় – ওজন বাড়াতে করণীও কি জেনে নিন

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা – জেনে না রাখলে ক্ষতি হতে পারে

কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – কমলা খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top