আমরা অসভ্য চরিত্রহীন মানুষ ,
মনুষ্যত্ব একদম হাওয়াভরা ফানুস ।
রাস্তাঘাটে, বাসেট্রামে  মেয়ের খোঁজে ঘুরি ,
দেখা পেলেই ড্যাবডেবিয়ে চক্ষু-ভক্ষণ করি ।
কখনো সুযোগ পেলে , শরীর ঘেঁষে  পরশের শিহরণ ,
সীমিত অবসরে টুকরো সুখের আহরণ।

আমাদের দেখে চেনা দায় ,
পুরোপুরি ভদ্দরলোকের পোশাকে –
কখনো বাবা , দাদা বা দাদুর  চামড়া গায়ে !
আমরা শরৎবাবুর কুলিন পুরুষের বংশজ,
সমাজের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ;
তোমাদের শুঁচিবাই আইনে ,
মেয়েদের মাথায় তোলার আতিশয্য –
এমন আইন বড়ই অসহ্য ।

আমরা সুপুষ্ট শরীরের হ্যাঁঙলা কাঙাল ,
বোকারা আমাদের পাড়ে গাল –
বলে আমরা নাকি ,সমাজের জঞ্জাল ।
লজ্জা পাইনে আমরা ,
একটু সাবধান হয়েছি আজকাল ;
চেহারা ঢাকতে,  চোখে কালো চশমা পরি ,
নরম গরম শরীরটাকে চূড়ান্ত ভোগ করে ;
সুন্দর উষ্ণ লোভনীয় দেহটাকে,
নীরব নিঃশব্দ  প্রাণহীন করি ;
যাতে ঐ সুন্দর মুখে –
অবিশ্বাস আর ঘৃণার কাহিনী কেউ শুনতে না পায়  ।
শেষে লুটিয়ে পড়ি ,কোন শক্তিধর  দাদার পায়ে ;
তারপর আর ভয় নেই, নিঃশ্চিন্ত ।
দু-চারদিন হৈচৈ , সংবাদের শিরোনাম ,
দাদা আর নেতারাসব আমার দলে, ডান কিংবা বাম ।
তারপর সব চুপ , সবাই ভুলে যায় মেয়েটার নাম

পুরুষ মানেই চরিত্রহীন ?
– অরুনাভ সেনগুপ্ত

হুম ঠিক শুনেছেন, পুরুষ মানেই নোংরা, পুরুষ মানেই চরিত্রহীন।
বর্তমান সমাজ এতেই দিয়েছে শিলমোহর, তাই সমাজ করেছে তাকে সমাজহীন।
পুরুষ মানেই ধর্ষক, ধর্ষণের দর্শক, পুরুষ মানেই আবার অমানুষ।

পুরুষদের হৃদয় বলে কিছু আছে নাকি, তারা তো সব আদিম যুগের বনমানুষ।
এই হচ্ছে বর্তমান সমাজে মানুষের চিন্তাধারা,
ভেবে দেখেছেন,তিনি তো কারো বাবা,কারো আবার ছেলে,
তাদের বিচারও কি হওয়া উচিত, একই ছাঁচে ফেলে ?
নিজের বাবা ,নিজের ভাই সবাই তারা ভালো।

রাস্তায় অন্য পুরুষ হাঁটলে পরেই, তারা হিংস্র, তাদের মনটা কালো।
চিন্তাধারা পালটানো চেষ্টা করুন, সবাই নয়কো এক।
চিনতে শিখুন, জানতে শিখুন, বিবেচনার সহিত ভাবতে শিখুন।
সব পুরুষই খারাপ হলে নিজের ডোরেমন বাবাকে দেখুন।

কি হোয়েছে না জেনেই ,অনেক সময় এই পুরুষই,মেয়েদের সমথর্ন করে।
পুরুষ বলেই হয়তো,নিরপরাধ হয়েও একা বাড়িতে গুমরে মরে।
সে হয়তো ইচ্ছে করে কোনুইয়ে মারেনি।
অন্য মনস্ক হোয়েছিল,লেগে গেছে বুঝতে পারেনি।

তাই বলে, আপনি সবার সামনে তাকে অসম্মান করবেন,
তাকে কিছু দাঙ্গাবাজ লোকের হাতে, মার খাওয়াবেন।
বুঝতেই তো পারছেন একজন বাড়ির পুরুষের ওপর পুরো বাড়ির, চিন্তা মান-সম্মান সবটাই বর্তায়,
কে বলতে পারে বলুনতো,সে হয়ত ছিল ,তার ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিন্তায়।
ওই একটা ঘটনায় তাকে কিছুক্ষনের অতিথি করে দিতে পারে।

আর যদি সেরকমই কিছু পরিণতি হয় ,পারবেন নিজেকে ক্ষমা করতে ?
পারবেন সেই দুখিনী মেয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে ?
পারবেন না, কারণ আপনি জানেন যেটা করেছেন সেটা অন্যায়,
আর তার জন্য, সেই মরণাপন্ন মায়ের বেচেঁ থাকার ইচ্ছেটাই হয়তো আর নেই।

তাই সবার উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার, ঘটনার সত্যতা বিচার না হওয়া অবধি,পালন‌ করুন নিরাবতা,
না জেনে,না বুঝে একজন সৎ মানুষের গায়ে কাদা ছেটানোর জায়গায়,দেখান না একটু মানবতা, একটু ভদ্রতা।