টিপসস্বাস্থ্য

নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা – নারিকেল শাঁসের যত উপকারিতা

নারিকেল বহু পরিচিত নাম, আমরা যেমন ডাব খেতে পছন্দ করি তেমনি নারিকেল খেতে পছন্দ করি। ডাব ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়ে নারিকেল হয়। ডাবের পানি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি নারিকেলের পানি খেতেও সুস্বাদু। তবে কচি ডাবের পানি নারিকেলের পানির থেকেও অনেকটাই মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

নারিকেলের সুস্বাদু শাঁস দিয়ে তৈরি হয় মজাদার খাবার। যেমন নারিকেল নাড়ু, নারিকেলের সন্দেশ, নারিকেলের বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি, নারিকেলের পায়েশ, নারিকেলের হালুয়া, নারিকেলের আইসক্রিম। এছাড়াও চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ভূমিকা রয়েছে।

শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। যারা নারকেল খেতে পারবে তারা আসলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবে অনেকটাই। স্বাস্থ্য উপকারিতায় নারকেলের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। নারকেলের শাঁস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণ ভরপুর।

নারিকেলের শাঁস ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের অসুখ দূর করতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণ ভরপুর নারিকেল আমাদের শরীর স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কতটা ভূমিকা পালন করে, তা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরব। নারকেলের স্বাস্থ্যকরিতা সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে কয়েকটি বিষয়ে বিভক্ত করে নারকেলের উপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে আশা করা যায় এখান থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন।

নারিকেল খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত নারিকেল পিঠাপুলি খাওয়া হয় গ্রাম অঞ্চলে বেশি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন খাবার তৈরিতেও নারিকেলের ব্যবহার করা হয়। নারিকেল আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতায় অনেক ভূমিকা পালন করে। প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে আছে ৩৫৪ ক্যালরী, ৩৩ গ্রাম ফ্যাট, ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২ আছে।

নারিকেলের শ্বাস বের করার জন্য নারিকেলের উপরের অংশ (যা বলা হয় নারীকেলের উপরে থাকা খোসা) ফেলে ভেতরের অংশ বের করা হয়। এরপর নারিকেল খুব সহজে ফাটিয়ে ভেতরে থাকা পানি ও শ্বাস খাওয়া যায়। নারিকেলের শ্বাস খেতে অনেকেই পছন্দ করে। শ্বাস অনেকটাই মিষ্টি হওয়ার কারণে অনেকের কাছে এই ফলটি অনেক প্রিয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শরীরের জন্য যতটুকু ক্যালরির দরকার এর ১০ ভাগের ১ ভাগ নারকেল খেয়ে পূরণ করতে পারেন। যেহেতু প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে ৩৫৪ ক্যালরি থাকে। তাই নারকেল আবার খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। সেই অনুযায়ী কারও যদি দিনে ১ হাজার ৫০০ ক্যালরি দরকার হয়, তবে ১৫০ ক্যালরি নারকেল থেকে নিতে পারেন।

নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা

স্বাস্থ্যকর ফল খাওয়া প্রত্যেকের শরীরে জন্য ভালো। স্বাস্থ্যকর ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা যায় এর মধ্যে নারিকেল স্বাস্থ্যকর একটি ফল। নারিকেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার্থে অন্যান্য খাবার তালিকা পাশাপাশি নারকেল খাওয়া উচিত। নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা উচিত যা সাহায্য করে নারিকেল। লিভারের অসুখের ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও অন্যান্য লিভারের অসুখে বেশ ভালো কাজ দেয় নারিকেলের দুধ।

হার্ট সুস্থ রাখে- নারিকেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের সমস্যা দূর করে। নারিকেলের রয়েছে ফ্যাটি এসিড রয়েছে তা কোলেস্টেরল বাড়ায় না আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ওজন কমায়- অন্যান্য ফলের তুলনায় নারিকেল ক্যালরির মাত্রা অনেকটাই কম। যেসব খাবারে ক্যালরির মাত্রা কম থাকে ওই সকল খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। নারিকেল অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি খুব অল্প ক্যালোরিতেই মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরে শক্তি যোগায়

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে- হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে নারীকেলের শাঁস। হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে নারকেল। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

চুলে যত্নে- নারিকেল তেলের ব্যবহার আমরা সকলেই জানি, নারিকেল তেল চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে। তেমনি নারিকেলের শাস খেতে পারলে মাথায় খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয়।

দাঁত ও হাড় ভালো রাখতে- হাড়ের গঠন মজবুত করতে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। বয়সের সাথে সাথে হাড়ের গঠন দুর্বল হয় এক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকারী নারিকেল। নারিকেলে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। অস্ট্রিওপোরেসিস, অস্ট্রিও আর্থারাইটিস, যে কোন হাড় সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় নারিকেল শাঁস ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

ত্বকের যত্নে- ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে নারিকেলের শাঁস। নিয়মিত এই শাঁস খেলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়।

কোলন ক্যানসার ঝুকি কমে- নিয়মিত নারকেল খেলে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমে। তাই নারিকেল খাওয়া উচিত

নারকেলের পানির পুষ্টি- প্রতিদিন নারকেল পানি পান করলে শরীরে ডি-হাইড্রেশনের অভাব দূর হয়। এর সঙ্গে নারকেল জল প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। নারকেল পানি কেবল শরীরের জন্যই নয় চুল ও ত্বকের জন্যও উপকারী। এতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি রয়েছে এটি খনিজগুলোতে উচ্চ, তবে ফ্যাট, চিনি এবং কোলেস্টেরল কম। তাই নারিকেল খাওয়া উচিত।

এছাড়াও নারকেলের দুধ লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। একইসঙ্গে হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অসুখ সারাতে নারকেল দুধ কার্যকরী।

তাই নারীকেলের এই স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য। আমাদের অবশ্যই অন্যান্য খাবার তালিকার পাশাপাশি নারিকেল খাওয়া উচিত।

নারিকেল তেল খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সাধারণত নারিকেল তেল ব্যবহার করি চুলে যত্ন নেওয়ার জন্য। কিন্তু জানলে অবাক হবেন নারিকেল পানি ও নারিকেলের শাঁসের মত নারিকেল তেলের বেশ উপকারিতা রয়েছে। যেহেতু চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সেই অনুযায়ী আমাদের এরকম চিন্তা হয় নারীকেল তেল আদৌও কি খাওয়া যায়। আর খেলে কি শরীরের পক্ষে কোন ক্ষতি হবে।

যেহেতু দৈনন্দিন রান্না করার ক্ষেত্রে সরিষার তেল ও সোয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের এই ধরনের চিন্তাভাবনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি ভেবে থাকেন নারিকেল তেল কি খাওয়া যায়। তাহলে অবশ্যই জেনে রাখুন নারিকেল তেল খাওয়া যায়। নারিকেল তেল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা এখন আমরা আলোচনা করব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- নারিকেলের শাঁসের পাশাপাশি নারিকেল তেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন অল্পমাত্রায় নারকেল তেল খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে- অতিরিক্ত মেদ এর কারণে খাদ্য তালিকা থেকে অনেক ধরনের খাবার সরিয়ে ফেলা হয়। নারিকেল শ্বাস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের মেদ কমানো যায় এর পাশাপাশি নারিকেল তেল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। নারিকেলে থাকা উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড পেটে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে এই তেল শরীরের মেটাবলিক রেটকে বাড়িয়ে দেয় যা আপনার ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে- হজম শক্তির বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে নারিকেলের শ্বাসের যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনি নারিকেল তেলের ভূমিকা রয়েছে। এই তেলটির ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, তেমনি বিভিন্ন ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

বয়সের ছাপ কমায়- তেলের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের সুরক্ষায় দারুণ উপকারী। ত্বকে বলিরেখা পড়া, আঁচড় ও বাড়তি দাগ দূর করতেও খুবই উপকারী ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ নারকেল তেল। তাই বলাই যায় বয়সের ছাপ দূর করার জন্য এর অনেক কার্যকারিতা রয়েছে

নারিকেল শ্বাসের যেমন উপকারিতা রয়েছে। তেমনি নারকেল তেলের উপকারিতা রয়েছে। নারিকেল খাবার পাশাপাশি নারিকেল তেল খাওয়া যায়।

নারিকেল তেল মুখে মাখার উপকারিতা

নারিকেল শ্বাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নারিকেল তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নারিকেল তেল মুখে মাখার বেশ উপকারিতা রয়েছে। চুলের জন্য উপকারী তেমনি ত্বকের জন্য উপকারী। আপনারা যারা জানতে চান নারিকেল তেল মুখে মাখলে কি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। নারিকেল তেল মুখে মাখার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে

স্কিন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের ব্যবহার সব থেকে বেশি প্রচলিত। নারিকেল তেল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এর পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ময়েশ্চারাইজার এবং লোশনের মতো করে ত্বকে এই তেল মাখতে পারেন।

অল্প পরিমাণে হাতে নিয়ে স্কিনে ম্যাসাজ করতে হয়। নারকেল তেল এমন একটি স্কিনকেয়ার পণ্য, যা সরাসরি ত্বকে ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যায়। এরপর আপনার ইচ্ছেমতো সময় পর মুখ ক্লিঞ্জার দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। তবে প্রথমবার নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট বা পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে নিতে হবে।

নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

নারিকেলের শাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপর থেকে জানতে পেরেছি। নারিকেল খেলে আমাদের শরীরের উপকারে আসে তেমনি নারিকেল তেল খেলেও নানা ধরনের উপকারে আসে। নারকেল খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা অনেকে জানতে চায়। এর অপকারিতা বলতে গেলে নারিকেলের অপকারিতা খুবই কম। তাই কাদের ক্ষেত্রে নারকেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত তাহলে চলুন যেনে যাক।

অতিরিক্ত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আসলে এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট। সেইজন্যই এমনটা হয়। তাই অতিরিক্ত নারিকেল তেল ব্যবহার করা যাবে না

নারিকেলের শাঁস ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা নারীকেলের শাঁস খেতে পছন্দ করে। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খায় তারা ওজন বৃদ্ধি করতে পারবে না। নারিকেল ক্যালরি মাত্র কম থাকায় ওজন বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।

নারিকেলের ছবি

নারিকেলের ছবি অনেকে সংগ্রহ করতে চায়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা নারিকেলের ছবি তুলেছি। আশা করা যায় আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

নারিকেলের ছবি

শেষ কথা

আমরা চেষ্টা করেছি নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরার। আশা করা যায় আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি খুব সহজে জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

আরও দেখুনঃ

তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – স্ট্রবেরি ফলে যত গুনাগুন জেনে নিন

নারিকেলের উপকারিতা ও অপকারিতা – নারিকেল শাঁসের যত উপকারিতা

তাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – তালের শাঁস কেন খাবেন তা জেনে নিন

পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা – যে কারণে পেঁপে খাওয়া উচিত

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় – ঠোটের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button