১৭ মার্চ বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। অন্যদিকে 17 ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী। তাই আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য জাতীয় শিশু দিবসের ভাষণ, গুরুত্ব ও স্লোগান তুলে ধরা হয়েছে। তাই যারা জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে কিছু কথা পেতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে জাতীয় শিশু দিবসের ভাষণ।
Contents
জাতীয় শিশু দিবসের ভাষণ
বাংলাদেশের শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনে আমাদের ভাষণ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই আজকের পোস্টে আমরা জাতীয় শিশু দিবসের ভাষণ তুলে ধরেছি। আপনি যদি শিশু দিবস উপলক্ষে স্টেজে ভাষণ দিতে চান। তাহলে আজকের পোস্ট এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই একটি সুন্দর ভাষণ উপস্থাপন করতে পারবেন।
শিশু দিবসের বক্তব্য
শিশু দিবসের বক্তব্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনি যদি শিশু দিবস উপলক্ষে গুছিয়ে একটি ভালো বক্তব্য উপস্থাপন করতে না পারেন। তাহলে আপনার শিশু দিবসের আয়োজন বৃথা হয়ে গেলো। তাই আপনারা যাতে শিশু দিবসের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। তার জন্য নিচে শিশু দিবসের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় শিশু দিবসের বক্তব্য শুরুঃ
আসসালামু আলাইকুম, মঞ্চে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও সামনে উপস্থিত আমার সহকর্মী অপরিচিত সকল ভাই-বোনকে জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা।
জাতীয় শিশু দিবস তৈরি হয়েছিল শিশুদের প্রতি যত্নশীল ও জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য। আজ জাতীয় শিশু দিবস তৈরি করার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থাৎ আমাদের সবার সম্মানিত ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিশু দিবস তৈরি করার জন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাই আজকে এই জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আমরা অবশ্যই শিশুদের প্রতি যত্নশীল হব।
অন্যদিকে সবাই মিলে এই দিনটিকে উদযাপন করে মানুষকে শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহবান করব। যাতে শিশুদের প্রতি জনসচেতনতা ভালোভাবে চারদিকে তৈরি হয়। দেশটাকে ভালোভাবে তৈরি করার জন্য একটি শিশুর সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা অনেক প্রয়োজন।
তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান আর স্মরণ করছি আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি আমার বক্তব্য বা ভাষণ আর দীর্ঘ করবো না। সবাই শিশুদেরকে ভালবাসবেন এবং শিশুদের পাশে থাকবেন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব
শিশু দিবস কেন পালন করা হয় সেটি বুঝার আগে বোঝা যাক শিশু কাকে বলে?। শিশু হলো জন্মের পর থেকে ১৮ বছরের বালক ও বালিকারা । এই সব শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ তাই এই সব ভবিষ্যৎ নাগরীকদের সুরক্ষার এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্মরন করবার জন্যেই জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
কিন্তু সে ভাবে দেখতে গেলে, শিশুদের কিন্তু প্রত্যেক দিনই যত্ন করা দরকার। যেমনঃ একটি গাছের চারা লাগালেই হয় না। তাকে প্রতি নিয়ত রক্ষা করতে হয়, করতে হয় পরিচর্যাও। আমরা জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ মার্চের ১৭ তারিখ পালন করব।
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করার গুরুত্বঃ
বঞ্চিত শিশুদের জীবনোন্নয়নের জন্য শিশু দিবস পালন করা হয়।দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও,এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে।
জাতীয় শিশু দিবসের স্লোগান
জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এর মূল প্রতিপাদ্য” বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুর জীবন হোক রঙিন”। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়- যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।
জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে কিছু কথা
১৭ মার্চ ১৯২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম গ্রহণ করেন। জাতীয়ভাবে দিনটিতে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে।
প্রথমে দিনটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রতি বছর ১৭ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। করোনার কারণে গত বছর জাতীয় শিশু দিবস পালনে বাধা আসে। এবার জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ পরিকল্পনা অনুযায়ী পালন করা হবে বলে জানিয়েছে জন প্রশাসন মন্ত্রানালয়।
Read More
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস রচনা
১৭ মার্চ কি দিবস – ১৭ মার্চ কেন পালন করা হয়
শিশুদের নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও পিকচার