আপনি যদি কম দামের মধ্যে বাইক খোজ থাকেন। তাহলে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বাইক পেয়ে যাবেন। আপনার বাজেট যদি হয় এক লক্ষ টাকার আশেপাশে। আর আপনি যদি একটি ভালো বাইক খোঁজ করে থাকেন। তাহলে রানার কোম্পানির ১০০ সিসির বাইক দেখতে পারেন। এছাড়াও প্রিমিয়াম সিগমেন্টের বাইক কম দামের মধ্যে কিনতে চাইলে রানার কোম্পানির বাইক দেখতে পারেন। এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে ১৫০ সিসির বাইক পেয়ে যাবেন।
সব মিলিয়ে বলা যায় আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য একটি বাইক প্রয়োজন হলে। রানার কোম্পানির ১০০ সিসির বাইক দেখতে পারেন। এখানে রানার কোম্পানির ১০০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি বাইকের দাম উল্লেখ করব। আশা করা যায় আপনাদের কাছে এই বাইক গুলো ভালো লাগবে। আপনি চাইলে কম দামের মধ্যে ভালো বাইকের লিস্ট দেখতে পারবেন, দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Contents
রানার বাইক ১০০ সিসি
এখন দেখে নেব রানার কোম্পানির ১০০ সিসি বাইকের দাম কত। সাধারণত বাজেট সেগমেন্টের বাইকের দাম কম হয়। আপনার বাজেট যদি ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তাহলে এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারবেন। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রানার কোম্পানির ১০০ সিসির বাইকের দাম কত।
রানার বাইক ১০০ সিসি দাম
- Runner bullet 100 V2, এই বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 4.8 kw, পাওয়ার এবং 7 Nm, টর্ক উৎপন্ন হয়। এই বাইকের মাইলেজ পাওয়া যায় 70 kmpl, ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৬ লিটার।
- Runner bullet 100, বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 4.8 kw, পাওয়ার এবং 7 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই বাইকের মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl সাথে চারটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৬ লিটার।
- Runner cheeta 100 বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 5.2 kw পাওয়ার এবং 6.5 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 70 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 60 kmpl, ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১২ লিটার।
- Runner royal 100 ES বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১০০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 4.8 kw পাওয়ার এবং 6.5 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 75 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া। ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১০ লিটার।
রানার ১১০ সিসি
এখন দেখে নিব রানার কোম্পানির যে সকল বাইকে ১১০ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাজারে দাম কত তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- Runner Royal plus 110 বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১১০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 6 kw পাওয়ার এবং 7.8 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 85 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 60 kmpl ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১০ লিটার।
রানার ১২৫ সিসি
রানার কোম্পানির ১২৫ সিসির বাইকের লিস্ট দেখে নেব এবং দাম জেনে নিব যারা রানার কোম্পানির ১২৫ সিসির বাইকের দাম জানতে আগ্রহী তারা এখান থেকে জেনে নিন। Runner turbo 125 matte বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 8.5 kw পাওয়ার এবং 11 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 110 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৫ লিটার।
Runner turbo 125 বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 8.5 kw পাওয়ার এবং 11 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 110 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৬ লিটার। সাথে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন থাকছে।
রানার ১৫০ সিসি
এখন দেখে নেব ১৫০ সিসি বাইকের দাম। বাংলাদেশ বাজারে কম দামের মধ্যে ১৫০ সিসি বাইক ছেড়েছে। রানার কোম্পানি কে সকল বাইক দিয়ে গ্রাহকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। Runner Knight Rider V2 বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 8.9 kw পাওয়ার এবং 12.2 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 120 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৫ লিটার। সাথে পাঁচটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
Runner Knight Rider ১৫০ বাইকটিতে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 8.9 kw, পাওয়ার এবং 12.2 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 120 kmph এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১৬.৮ লিটার। সাথে পাঁচটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
আশা করা যায় রানার কোম্পানির ১০০ সিসি থেকে ১৫০ সিসির বাইকের দাম জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে থাকা আরও অন্যান্য পোস্ট দেখতে পারেন। হয়তো আপনাদের কাছে ভালো লাগতে পারে।
আরও দেখুনঃ
