নামাজের উপকারিতা

নামাজের উপকারিতা – দেখুন ইহকালীন ও পরকালীন লাভ

আজকে আমরা কথা বলবো নামাজের উপকারিতা নিয়ে। বাঙালি সব সময় নামাজের উপকারিতা জানতে চাই। তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ নামাজের উপকারিতা জানতে চাইয়া অনুসন্ধান করে।

তাই অনেকে ইন্টারনেটে নামাজের উপকারিতা জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করে। আজকের এই পোস্টে আমরা নামাজের উপকারিতা উল্লেখ করেছি। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে যনামাজের উপকারিতা জেনে নিন। নামাজ পড়লে মানুষের অনেক লাভ হয়।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা

যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তাদের জন্য ইসলামিক ভাবে নামাজের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে।

নামাজের শারীরিক উপকারিতা

আবার নামাজ দুনিয়ায় সব ধরনের অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। শুধু তাই নয়, নামাজের মাধ্যমে নামাজি ব্যক্তি অনেক শারীরিক উপকার লাভ করে। যার কিছু তুলে ধরা হলো-

  • মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়; তখন সব চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
  • নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করে এবং রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে কোমর ও হাটু ব্যাথা উপশম হয়।
  • নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আবার সিজদা থেকে ওঠে যখন দুই সিজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁট সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।
  • নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এ সবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।
  • নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকি।
  • নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়।

নামাজের ইহকালীন ও পরকালীন উপকারিতা

অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত হলো নামাজ। পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অনেক সম্মান ও উপকার পেয়ে থাকেন। নামাজে যেমন রয়েছে ইহকালীন উপকার তেমনি রয়েছে পরকালীন কল্যাণ।

নামাজের ইহকালীন উপকারিতা

  • নামাজের পূর্বশর্ত হলো পবিত্রতা। একজন ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে হলে প্রথমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। এই পবিত্রতা অর্জন সাধারণত নামাজের পূর্বে অজু দ্বারা করা হয়। আর পাঁচওয়াক্ত নামাজে পাঁচবার অজুর মাধ্যমে যে পবিত্রতা অর্জন করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কেননা অজুর দ্বারা হাত-পা ও চেহারায় লেগে থাকা ধুলো-বালি ও জীবানু নাশ হয়। তাতে চর্মরোগসহ অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
  • পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন তাদের জন্য আলাদা ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা লাগে না। কারণ নির্ভুল নামাজ আদায় সর্বোত্তম ব্যায়াম বা শরীরচর্চা।
  • নিয়মিত নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিকে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ভোরে ঘুম থেকে জাগতে হয়। তারপর তাকে হেঁটে হেঁটে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। এই যে হেঁটে মসজিদে যাওয়া ও সকালের মৃদুমন্দ হাওয়া উপভোগ করা- তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
  • পাঁচওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করলে সময়ানুবর্তিতা ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়। তাই নিয়মিত নামাজি ব্যক্তি কর্তব্যে অবহেলা এবং অনিয়ম প্রদর্শন করতে পারেন না। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জীবন সুন্দর ও শৃঙ্খলিত হয়। নামাজি ব্যক্তি নিরহঙ্কার ও বিনয়ী হয়।
  • নিয়মিত নামাজ আদায় করলে কোনো মানুষ বিকারগ্রস্ত থাকতে পারে না। নামাজে পরস্পর সম্পর্ক, সহানুভূতি, ভালোবাসা সৃষ্টি ও বৃদ্ধি পায়। কেননা একই এলাকা বা মহল্লার লোকজন যখন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন তখন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়। একজন আরেকজনের সুখ-দুখ সম্পর্কে জ্ঞাত ও কল্যাণকামী হন। নামাজের কল্যাণে একে অপরের সঙ্গে এই যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা সৃষ্টি- তাতে করে একজন মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন।
  • নামাজের কল্যাণে আল্লাহ তায়ালা মনের অশান্তি ও অস্থিরতা দূর করে দেন। নামাজি ব্যক্তি মানসিক ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ করেন। নামাজের উসিলায় আল্লাহ তায়ালা বান্দার রিজিকে প্রসস্ততা দান করেন এবং কামাই-রোজগারে বরকত ও কল্যাণ দান করেন। বিভিন্ন বিপদাপদ ও বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করেন। চেহারায় নুর ও লাবণ্যতা দান করেন। এছাড়াও নামাজের মাধ্যমে রয়েছে ইহকালীন আরো অনেক উপকারিতা।

নামাজের পরকালীন উপকারিতা

  • নামাজ আদায়ের পরকালীন উপকারিত ও পুরস্কার সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা নামাজ কায়েম করে এবং আমার দেওয়া রিজিক থেকে ব্যয় করে, তারা হলো সত্যিকার ঈমানদার। তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক।‘ [সুরা আনফাল : ৩-৪] অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, `যারা তাদের সালাতসমূহের হিফাজতকারী, মূলত এরাই হবে জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী এবং সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে।’ [সূরা মুমিনুন : ৯-১১]
  • রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজ যত্নের সাথে আদায় করবে, কেয়ামতের সময় এ নামাজ তার জন্য আলো হবে, তার ঈমান ও ইসলামের দলিল হবে এবং তার নাজাতের ওসিলা হবে। আর যে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়মিত নামাজ আদায় করবে না, কেয়ামতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে নামাজ তার জন্য আলো হবে না, দলিল হবে না এবং সে আজব ও শাস্তি থেকে রেহাইও পাবে না।’ [মুসনাদে আহমদ :  হাদীস ৬৫৭৬]
  • এক হাদিসে নবীজি সা. ইরশাদ করেন- ‘পাঁচওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি যথানিয়মে অজু করবে এবং যথাসময়ে নামাজ আদায় করবে, উত্তমরূপে রুকু সিজদা করবে এবং খুশুখুজুর সঙ্গে নামাজগুলো পড়ে যাবে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা রয়েছে, তিনি অবশ্যই তাকে ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু যে ব্যক্তি যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে না তার জন্য আল্লাহ পাকের কোনো ওয়াদা নেই। চাইলে তাকে তিনি শাস্তি দিতে পারেন,  ক্ষমাও করতে পারেন।’ [সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৪২৫] রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘অন্ধকারে মসজিদে গমনকারীর জন্য কিয়ামতের দিন পূর্ণাঙ্গ আলো লাভের সুসংবাদ দাও।’ [সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫৬১]
  • হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে মসজিদ হতে বের হয়, কিন্তু পরবর্তী নামাজে শরীক না হওয়া পর্যন্ত তার অন্তঃকরণ মসজিদের দিকেই থাকে এবং সে যথাসময়ে নামাজ সম্পন্ন করে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের কঠিন দিবসে আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবে।’ [সহিহ বুখারি : হাদিস ৬১১৪, ৬৪২১]
  • হযরত হানজালা উসাইদি রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পাবন্দির সাথে আদায় করে, উত্তমরূপে অজু করে, সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে, রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে এবং এভাবে নামাজ আদায়কে নিজের ওপর আল্লাহ তায়ালার হক মনে করে, তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেওয়া হবে।’[মুসনাদে আহমাদ ৪/২৬৭ পৃ.] আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন উপকারিতা অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

নামাজ না পড়ার শাস্তি

আল্লামা ইবনে হযর মক্কী (রহ.) ফাজায়েলে আ’মাল মিনাল জাওয়াযের নামক গ্রন্থে একটি হাদিস উল্লেখ করেন। হাদিসটি হলো নিম্নরূপ : যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অলসতা করে তাকে ১৫ ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে। তার মধ্য থেকে পাঁচ ধরনের শাস্তি দুনিয়াতে। তিন ধরনের শাস্তি মৃত্যুর সময়। তিন ধরনের শাস্তি কবরে। তিন ধরনের শাস্তি কবর থেকে উঠানোর পর।

দুনিয়াতে যে পাঁচ ধরনের শাস্তি হবে তা হলো –

  • এক. তার জীবনের বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হবে।
  • দুই. তার চেহারা থেকে নেককারদের নূর দূর করে দেওয়া হবে।
  • তিন. তার নেক কাজের কোনো বদলা দেওয়া হবে না।
  • চার. তার কোনো দোয়া কবুল হবে না।
  • পাঁচ. নেক বান্দাদের দোয়ার মধ্যে তার কোনো হক থাকবে না।

মৃত্যুর সময় যে তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে –

  • এক. জিল্লতি ও অপমানের সঙ্গে সে মৃত্যুবরণ করবে।
  • দুই. ক্ষুধার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে।
  • তিন. এমন পিপাসার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে যে, সমুদ্র পরিমাণ পানি পান করালেও তার পিপাসা মিটবে না।

কবরে যে তিন ধরনের শাস্তি হবে –

  • এক. কবর তার জন্য এমন সংকীর্ণ হবে যে, এক পাশের বুকের হাড় আরেক পাশে ঢুকে যাবে।
  • দুই. তার কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
  • তিন. তার কবরে এমন একটি সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হবে, যার চক্ষু আগুনের আর নখগুলো হবে লোহার, তার প্রত্যেকটি নখ লম্বা হবে একদিনের দূরত্বের পথ। তার আওয়াজ হবে বজ্রের আওয়াজের মতো বিকট। সাপ ওই বেনামাজিকে বলতে থাকবে, আমাকে আমার রব তোর ওপর নিযুক্ত করেছেন যাতে ফজরের নামাজ নষ্ট করার কারণে সূর্যোদয় পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। জোহরের নামাজ নষ্ট করার কারণে আসর পর্যন্ত দংশন করতে থাকি। আসর নামাজ নষ্ট করার কারণে মাগরিব পর্যন্ত আর মাগরিবের নামাজ নষ্ট করার কারণে এশা পর্যন্ত, আর এশার নামাজ নষ্ট করার কারণে ফজর পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। এই সাপ যখনই তাকে দংশন করবে তখনই সে ৭০ হাত মাটির নিচে ঢুকে যাবে (উঠিয়ে আবার দংশন করবে) এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত এই সাপ তাকে আজাব দিতে থাকবে।

কবর থেকে উঠানোর পর বেনামাজিকে যে চার ধরনের আজাব দেওয়া হবে –

  • এক. তার হিসাব খুব কঠিনভাবে নেওয়া হবে।
  • দুই. আল্লাহতায়ালা তার ওপর রাগান্বিত হয়ে থাকবেন।
  • তিন. তাকে জাহান্নামে ঢুকানো হবে।
  • চার. তার চেহারায় তিনটি লাইন লেখা থাকবে- ১. হে আল্লাহর হক নষ্টকারী! ২. হে আল্লাহর গোস্বায় পতিত ব্যক্তি! ৩. তুই দুনিয়াতে যেমন আল্লাহর হক নষ্ট করেছিস তেমনি আজ আল্লাহর রহমত থেকে তুই নিরাশ হয়ে যাবি।

নামাজ না পড়ার ভয়াবহ পরিণতি

নামায হচ্ছে ইসলামের মূল পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে দ্বিতীয় ও অধিকগুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত।যা কিনা প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্কাদের উপর ফরয করা হয়েছে।কোরআন ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে এই নামাজ পড়ার ফযিলত ও না পড়ার কঠোর বিধানের কথা উল্লেখ আছে।আমরা অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতটিকে আদায় করি না,বা ছেড়ে দেই। নামায না পড়ার শাস্তিঃ যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন। পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।

বেনামাজি যে অপমান ও শাস্তি ভোগ করবে

যারা একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে দু/এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে অথবা সাপ্তাহ, মাস কিংবা বছরে নামাজ পড়ে। তারা খুব শীঘ্রই অশান্তি ও পতন নেমে আসবে। শাস্তি তাদের জন্য অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা নামাজ নষ্ট করল (একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে ) এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের (নামাজ নষ্টের ও প্রবৃত্তিপরায়ন হওয়ার) শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে তারা ব্যতিত।’ (সুরা মারইয়াম : আয়াত ৫৯)

‘কোন জিনিস (কাজ) তোমাদেরকে (সাকার) জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা নামাজিদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না। (সুরা আল-মুদ্দাচ্ছির : আয়াত ৪২-৪৩)

‘সুতরাং দুর্ভোগ (ওয়াইল নামক জাহান্নামের কঠিন শাস্তি) সেসব নামাজ আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসিন।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)

(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’ (সুরা আল-কালাম : আয়াত ৪২-৪৩)

সর্বশেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে সবাই নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি নামাজের উপকারিতা পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ 

ইসলামিক ফেসবুক স্ট্যাটাস

কাজু বাদামের উপকারিতা – দেখুন বিস্তারিত

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

দারুচিনির উপকারিতা ও অপকারিতা

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায়

কলার উপকারিতা ও অপকারিতা – দেখুন বিস্তারিত

মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top